শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন
মো.নাহিদুল হকঃ কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটায় কালভার্ট ও খাল দখল করে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এতে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ সহ খাল ভরাট হয়ে যাবার উপক্রম হয়েছে। পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ডের কম্পিউটার সেন্টার সংলগ্ন আশ্রায়ন প্রকল্পে এ দখল কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এমন দখল দূষণের কারণে পরিকল্পিত নগরায়ন কতটুকু বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে পৌরবাসীর। এ বিষয়ে স্থানীয়রা কুয়াকাটা পৌর কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় ভূমি প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে জানালেও বন্ধ হয়নি নির্মাণ কাজ।
জানাগেছে, কুয়াকাটা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দা জামাল মাঝির ছেলে আলী হায়দার প্রকল্পের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রবাহমান খালের উপরে বিশালাকৃতির একটি টং ঘর নির্মাণ করেছে। ওই টং ঘর নির্মাণ করতে গিয়ে সদ্য নির্মাণ করা একটি বক্স কালভার্ট ঘরের নিচে চাপা পরে গেছে। এই খাল দিয়ে ওই এলাকার ফসলি জমিসহ জমে থাকা অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে। প্রতিনিয়ত খালের দুই দিক দিয়ে দখলে নিচ্ছে সুবিধা ভোগিরা। এতে খালটি সরু হতে হতে বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। তদারকির অভাবে খালের পশ্চিম মাথা ভরাট করে দখলে নিয়েছে কতিপয় দখলবাজরা। পুর্ব দিকে করা হয়েছে মাছের ঘের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আশ্রায়নের বাসিন্দারা জানান, দখল দূষণের কারণে খালটি ভরাট হয়ে গেছে। যেটুকু বাকি আছে তা ভরাটের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দিন দিন যেভাবে খাল ভরাট ও দখল হয়ে আসছে তাতে আগামীতে খালের কোন অস্থিত্ব থাকবে না।
খাল ও কালভার্ট দখল করে ঘর নির্মাণ করার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত আলী হায়দার সাংবাদিকদের জানান, খালের উপর টং ঘর নির্মাণ করেছেন তিনি এটা সত্য। তবে ঘরের নীচ দিয়ে পানি চলাচল করতে পারবে। কালভার্ট দিয়ে পানি নিষ্কাশনেও কোন সমস্যা হবে না।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ তৈয়বুর রহমান জানান, এই খাল দিয়ে অত্র এলাকার পানি নিষ্কাশন হয়ে আসছে। প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ঘের নির্মাণসহ নানা ভাবে দখল হয়ে গেছে খালটি। খাল রক্ষায় ভুমি কর্মকর্তারা উদ্যোগ না নেওয়ায় দখল রোধ করা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে মহিপুর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আ.ন.ম মুরাদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানে না। তার অফিসের অন্যরা জানতে পারে।
এ বিষয়ে কুয়াকাটা পৌর মেয়রের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি কিছুই জানেন না। কেউ তাকে জানায়নি। কাউন্সিলরের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তিনি তহসিলদার পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলে দিয়েছেন।
© All rights reserved 2022 © aponnewsbd.com
Leave a Reply